গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে পলাশবাড়ি পৌর এলাকার তিনমাথা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহতদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, গাইবান্ধা জেলা হাসাপাতাল ও পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পলাশবাড়ি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দিবাকর অধিকারী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আহতরা হলেন, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম লিয়াকত, ছাত্রদল কর্মী ইমরান, রাকিব প্রমুখ।
স্থানীয়রা জানান, পলাশবাড়ী পৌর এলাকার মেডিকেল মোড়ের ব্যাটারি ব্যবসায়ী ইমরান সরকারের সঙ্গে গাইবান্ধা জেলা শহরের ব্রিজ রোডের আরেক ব্যাটারি ব্যবসায়ী অলিউর রহমানের ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে পাওনা টাকা উদ্ধারের জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এরআগে রোববার (৩০ অক্টোবর) ইমরান সরকারের কাছ থেকে পাওনা টাকা উদ্ধারের জন্য অলিউর রহমান স্থানীয় তাঁতী লীগের সাবেক নেতা শরিফুজ্জামান প্রধান পল্লবের স্মরণাপন্ন হন।
অপরপক্ষে পলাশবাড়ী ব্যাটারি ব্যবসায়ী ইমরান বিষয়টি সমাধানের জন্য পলাশবাড়ি পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শামিম রেজার স্মরণাপন্ন হন।
এরপর টাকা লেনদেনের বিষয় নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের শামিম রেজার সঙ্গে তাঁতীলীগের সাবেক নেতা শরিফুজ্জামান পল্লবের মোবাইলে বাকবিতণ্ডা হয়।
এর জেরে রোববার সন্ধ্যায় তাঁতী লীগের সাবেক নেতা শরিফুজ্জামান পল্লবের নেতৃত্বে ৩০/৩৫ জনের একটি দল তিনমাথা মোড়ে শামিম রেজাকে বেধড়ক মারধর ও ছুরিকাঘাত করে। এতে শামিম রেজা গুরুতর আহত হলে তাকে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পলাশবাড়ীতে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন ও আওয়ামী লগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এরপর সোমবার বিকালে আবারও যুবলীগ-তাঁতীলীগসহ ৪০/৫০ জনের একটি দল পলাশবাড়ী তিনমাথা মোড় এলাকায় ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবকদলের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়।
এ বিষয়ে পলাশবাড়ি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দিবাকর অধিকারী বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় পক্ষ থানায় এজাহার দিয়েছে। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।